বাংলাদেশ ১৫৯৮০১,০১,৪০,০০০ বর্গফিটের দেশ, যেখানে বসবাস করছে প্রায় ১৬,৯৬,০৮,৬৩৬ মানুষ অর্থাৎ প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৯৪২১ বর্গফিটের কিছু বেশি জায়গা। এর মধ্যেই তার থাকা-খাওয়া, ফসল উৎপাদন, খেলাধুলাসহ জীবনের যাবতীয় আয়োজন মেটাতে হবে। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে উঠে আসা পৃথিবীর ১৯৫টি দেশের মধ্যে ৩২তম শক্তিশালী দেশটি জনসংখ্যার ঘনত্বে কিন্তু অষ্টম স্থান দখল করে আছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর সামাজিক অবস্থানকে যুগপৎভাবে ধরে রাখতে হলে আকাশচুম্বী অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির নেই।
অবকাঠামো নির্মাণে রড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি। বিশ্বে স্টিল উৎপাদনে ২৯তম দেশ হয়েও বাংলাদেশের এখন শুধু রড উৎপাদনের ক্ষমতা আছে বছরে প্রায় ৯০ লাখ মেট্রিক টনের, যা কিনা ২২তম অবস্থানে থাকা পোল্যান্ডের চাহিদার চেয়েও বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৩ লাখ টনেরও বেশি রডের চাহিদা মিটিয়েছে এ দেশের স্টিল উৎপাদনকারীরা, যা কিনা ছিল এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এবং আমার কাছে বিদ্যমান পরিসংখ্যান থেকে আমি বলতে পারি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সংখ্যা হবে ইনশাআল্লাহ ৬৬ লাখ ৬২ হাজার টনেরও বেশি।
শুধু দেশীয় প্রতিষ্ঠানের নির্ভরতায় নির্মাণের রড সরবরাহের এই বিশাল মাইলফলক অর্জনে দেশের বৃহৎ আটটি রিবার কোম্পানির অবদান অসামান্য। এর মধ্যে বিশেষভাবে ধন্যবাদ প্রাপ্ত হলো শীর্ষ চার বিএসআরএম, একেএস, জিপিএইচ ইস্পাত ও কেএসআরএম। যাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা, গবেষণা ও একাগ্রতার ফলে বাংলাদেশ ৪০ গ্রেডের রডের যুগ থেকে ৬০ গ্রেড, তারপর প্রথমে ৭২.৫ গ্রেড, এরপর এর আধুনিক সংস্করণ ডাকটিলিটি ক্লাস ডি-এর বি৫০০ডিডাব্লিউআর, শক্তিশালী ৮০ গ্রেড এবং সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী রড ৮৭ গ্রেডের বি৬০০সি-আর এবং ডাকটিলিটি ক্লাস ডি-এর বি৬০০ডি-আরের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বলাবাহুল্য, এই ধারাবাহিক সাফল্যের ফলে গত অর্থবছরে শুধু এই চারটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেট শেয়ার ছিল ৫৫.৩৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত অধিদপ্তর ও হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ৬০ গ্রেড রডকে সাদরে সম্ভাষণ জানালেও প্রথমে ৭২.৫ গ্রেডের ক্ষেত্রে গড়িমসি এবং অনেকটা দয়া করে ৮০ গ্রেডের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংস্করণ বিএনবিসি-২০২০-এ কিছুটা জায়গা দিয়েছে। যদিও ৭২.৫ কে-এর অফিশিয়ালি স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় এক যুগ এবং ৫৫০ এমপিএকে পার করতে হয়েছে বছরের পর বছর। মজার ব্যাপার হলো, বিএনবিসির নিজেকেই নিজের পরিবর্তন করতে লেগেছে প্রায় ২৭ বছর। আবার বিএনবিসি কোডে ৮০ গ্রেড রড স্থান করে নিলেও বিএসটিআইয়ের ম্যানুফ্যাকচারিং কোডের হিসেবে এটি স্বীকৃতি পায় না, কারণ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট অনুসরণ করে বিডিএস:আইএসও ৬৯৩৫-২ কোড, যাতে ৫৫০ এমপিএর কোনো অস্তিত্ব নেই। এ কারণে উৎপাদনকারীদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। তাই বাজারজাত করতে হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন নামে।
অথচ এই ৮০কেএসআইয়ের শক্ত অবস্থান আছে এএসটিএম কোডে, যে কোড অনুসরণ করে বাংলাদেশে রডের বেশির ভাগ ম্যাকানিক্যাল টেস্ট হয়। এ ছাড়া উল্লেখ আছে এসিআই কোডে ঠিক যে কোডের সাহায্য নিয়ে বিএনবিসি কোড বানানো।
এবারে ডিজাইন কোড নিয়ে আসি। আমি আগেই বলেছি বিএনবিসি কোড এসিআই কোডের একটা ছায়া কোড মাত্র। সেটা দোষের না, দোষের হচ্ছে এই কোডের দোহাই দিয়ে যখন রিসার্চে প্রমাণিত নতুন কোনো পণ্য বাজারে এলেই তাকে অসহযোগিতা কিংবা মেনে না নেওয়া হয় সেখানে। বিএনবিসি ২০২০ কোড এসিআই ২০০৮ থেকে অনুপ্রাণিত। অথচ এসিআইয়ের পরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৯-এ মোট তিনবার পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে। সেখানে ছায়া কোডের নিজেকে নিয়ে ভাবনাটা যেন একেবারে ম্রিয়মাণ।
আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউটের বিল্ডিং কোড ৩১৮-১৯-এ বলা আছে, ফ্লেক্সারাল মেম্বারে এবং এক্সিয়াল মেম্বারে রেইনফোর্সমেন্ট ৫৫০ এমপিএ থেকে ৬৯০ এমপিএ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। ইউরোপের বিল্ডিং এবং ব্রিজ ডিজাইনের কোড ইউরোকোড ৮, ডিজাইন অফ স্ট্রাকচার ফর আর্থকোয়াক রেজিস্ট্যান্স এ ফ্লেক্সারাল মেম্বারে এবং এক্সিয়াল মেম্বারে রেইনফোর্সমেন্ট ৬০০ এমপিএকে সমর্থন করে।
সিঙ্গাপুরের বিল্ডিং এবং কনস্ট্রাকশন অথরিটির সর্বশেষ আপডেট ফ্লেক্সারাল মেম্বারে এবং এক্সিয়াল মেম্বারে রেইনফোর্সমেন্ট ৬০০ এমপিএকে সমর্থন করে।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব স্টেট হাইওয়ে অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অফিশিয়ালস, যাদের কোড মূলত ব্রিজ এবং হাইওয়ে ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত, তারাও কিন্তু বলছে ফ্লেক্সারাল মেম্বারে ৬৯০ এমপিএ এবং এক্সিয়াল মেম্বারে রেইনফোর্সমেন্ট ৫৫০ এমপিএ ব্যবহার করা যেতে পারে। কোরিয়ান কংক্রিট ইনস্টিটিউট ২০১২ সালেই তাদের বিল্ডিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে ফ্লেক্সারাল মেম্বারে এবং এক্সিয়াল মেম্বারে রেইনফোর্সমেন্ট ৬০০ এমপিএকে সমর্থন করেছে।
আবারও ফিরে যাই চির অনুসরণীয় এসিআই কোড ৩১৮-২০১৪-তে, সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে, টেবিল ২০.২.২.৪এ-তে, স্পেশাল সিসমিক সিস্টেম ও অন্যান্য জায়গায় যেখানে ফ্লেক্সার, এক্সিয়াল ফোর্স, শৃংকেজ এবং টেম্পারেচারের ব্যবহার আছে সেখানে রেইনফোর্সমেন্ট ৮০,০০০ পিএসআই এবং স্পাইরাল সিসমিক সিস্টেম, স্পাইরাল ও অন্যান্য জায়গায় যেখানে ল্যাটারাল সাপোর্ট অফ লংগিচুডেনাল বার অর কংক্রিট কনফাইনমেন্টের ব্যবহার আছে সেখানে ১০০ গ্রেড পর্যন্ত রডের ডিজাইনকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
সর্বশেষ এসিআই কোড ৩১৮-২০১৯-এ, সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে টেবিল ২০.২.২.৪এ-তে, স্পেশাল সিসমিক সিস্টেম ও অন্যান্য জায়গায় বিশেষ করে স্পেশাল মোমেন্ট ফ্রেম ও স্পেশাল স্ট্রাকচারাল ওয়ালে যেখানে ফ্লেক্সার, এক্সিয়াল ফোর্স, শৃংকেজ এবং টেম্পারেচারের ব্যবহার আছে সেখানে রেইনফোর্সমেন্ট ৮০,০০০ পিএসআই ও ১,০০,০০০ পিএসআই এবং স্পাইরাল সিসমিক সিস্টেম, স্পাইরাল ও অন্যান্য জায়গায় যেখানে ল্যাটারাল সাপোর্ট অফ লংগিচুডেনাল বার অর কংক্রিট কনফাইনমেন্টের ব্যবহার আছে, বিশেষ করে স্পেশাল সিসমিক সিস্টেমে মোমেন্ট ফ্রেম ও স্পেশাল স্ট্রাকচারাল ওয়ালে সেখানে ৮০ গ্রেড থেকে ১০০ গ্রেড পর্যন্ত রডের ডিজাইনকে অনুমোদিত করা হয়েছে।
এ তো গেল ডিজাইন কোড। চলুন দেখি ম্যানুফ্যাকচারিং কোডগুলো কী বলছে।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট যে কোড অনুসরণ করে বিডিএস:আইএসও-৬৯৩৫-২:২০১৯ (ই)-তে সর্বোচ্চ শক্তির রড হিসেবে বলা আছে ৭০০ এমপিএ বা ১০০গ্রেডকে। আমেরিকান সোসাইটি ফর টেস্টিং ম্যাটেরিয়ালসের কোড এ৬১৫/এ৬১৫এম-২০ এবং এ৭০৬/এ৭০৬এম-২২ অনুসারে সর্বোচ্চ শক্তির গ্রেড ১০০। ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ৪৪৪৯:২০০৫+এ৩:২০১৬ অনুসারে সর্বোচ্চ শক্তির রড বি৫০০সি, যার ইল্ড স্ট্রেংথ সর্বোচ্চ ৬৫০এমপিএ পর্যন্ত অনুমোদিত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপানের জেআইএস জি ৩১১২:২০২০ অনুসারে সর্বোচ্চ শক্তির রড হলো ৭৮৫ এমপিএ বা ১১৩ গ্রেড। এবং এই ৭৮৫এমপিএ রডের ডাকটিলিটি ধরা হয়েছে ১.১৭ মাত্র। জি, হ্যাঁ। বাংলাদেশের সিসমিক জোনের ভেরি সিভিয়ার আর সিভিয়ার জোনে রডের ইল্ড স্ট্রেংথ ৬০,০০০ পিএসআই ওঠাতেই যাদের পানি পিপাসা পেয়ে যায় তারা দয়া করে জাপানিজ কোড নিয়ে একটু দেখবেন। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মেগাকনস্ট্রাকশন ফলো করে যে চাইনিজ স্ট্যান্ডার্ড তাদের কোড জিবি/টি ১৪৯৯.২-২০১৮ সর্বোচ্চ রডের স্বীকৃতি দিয়েছে এইচআরবি৬০০কে।
অস্ট্রোলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কোড এএস/এনজেডএস ৪৬৭১:২০১৯ অনুসারে সর্বোচ্চ শক্তির রড ৭৫০এমপিএ। শুধু তা-ই নয়, স্পেশাল সিসমিক জোনের জন্য তাদের অন্যতম পছন্দ ৫০০ই, যার ইল্ড স্ট্রেংথ ৬০০এমপিএ পর্যন্ত অনুমোদিত, সাথে ডাকটিলিটি রেশিও ১.১৫ হলেই গ্রহণযোগ্য। সিঙ্গাপুর স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল এসএস ৫৬০:২০১৬ কোড অনুসারে বি৬০০সি, যার ডাকটিলিটি রেশিও মিনিমাম ১.১৫।
আসুন আবার চলে আসি আমাদের বিএনবিসি কোড-২০২০-এ, পার্ট ৬, চ্যাপ্টার ৫-এ কংক্রিট ম্যাটেরিয়ালসের ৫.৩.২.২-এ বলা আছে, Deformed reinforcing bars with a specified yield strength fy exceeding 420 N/mm2 shall be permitted, provided fy shall be the stress corresponding to a strain of 0.35 percent and the bars otherwise confirm to one of the ASTM specifications listed in Sec 5.3.2.1 (Also see Sec 6.1.2.5) যেখানে Sec 5.3.2.1 (b)-তে বলা হয়েছে, ‘Standard Specification for Deformed and Plain Billet Steel Bars for Concrete Reinforcement (ASTM A615/A615M)’ এবং Sec 5.3.2.1 (e)-তে বলা হয়েছে ‘Standard Specification for Low Alloy Steel Deformed Bars for Concrete Reinforcement (ASTM A706/A706M)’। আপনি চাইলে স্ট্রেস স্ট্রেইন কার্ভ থেকে ০.৩৫ অফসেট নিয়েও দেখতে পারেন সেখানে কত ইল্ড স্ট্রেংথ আসে কিংবা আপনাকে যেহেতু একদম কোড নির্ধারিত করে দিয়েছে সেখানেও গিয়ে দেখতে পারেন ইনশাআল্লাহ গ্রেড ৮০ ও গ্রেড ১০০ দুটোরেই স্বীকৃতি আপনি পাবেন।
বিএনবিসি কোডের প্রথম ভার্সন ১৯৯৩/২০০৬-এর প্রিফেসে কিছু কথা লেখা ছিল, ‘Technology is a dynamic field with continues advancement and innovations, so is a building code. The code will require continues update and periodic revisions to keep pace with developing technology and needs of the changing time. After the National Building Code has been used and tested in the field, many issues will have the opportunity to be judged in practice and the need for revision of specific requirements will be felt. Update and revisions of the code will have to become a routine affair eventually. However, it is envisaged that for the second edition of the code, which is expected to be issued within the next five years, continuous monitoring by a standing committee will be necessary. To this aim, a cell will function within the Housing and Building Research Institute, the organization responsible for publication of this edition of the code. The cell will receive observations by and suggestions from professionals who will apply the code in practice. These observations and suggestions will be examined by panels of experts for incorporation in the subsequent edition of the code.’
শুধু প্রিফেসের এই অংশের জন্য ২০০৬ সালে বিএনবিসি ১৯৯৩/২০০৬ গেজেট আকারে প্রকাশের পর ২০০৮ সাল থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশে লাখ লাখ ভবনে ৫০০এমপিএ বা ৭২.৫ গ্রেডের রডের ব্যবহার সত্ত্বেও একটি কাঠামোর বিরুদ্ধেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ এটা ছিল মেনে নেওয়ার মতোই একটা কঠিন বাস্তবতা।
ঠিক একইভাবে বিএনবিসি ২০২০-এর প্রিফেসে আরো কিছু কথা লেখা আছে, ‘Since its publication in 1993, BNBC has been referred to and consulted by the professionals and designers in the field of building design and construction. After the endowment of legal status, importance of the BNBC 2006 has further enhanced. However, unlike other building codes available in the world, the Bangladesh National Building Code has not yet been formally reviewed and updated since it was drafted in 1993. Neither any feedback of the professionals regarding the document has been taken into formal consideration. In the last twenty-two years, new materials have been introduced, new scientific methods have emerged, new technologies have evolved and both design of structures and construction practices have gone through enormous changes. Researchers, engineers and academics in Bangladesh have also conducted new studies which enriched our knowledge about planning, design, construction and sustainability.’
প্রিফেসের এ কথাগুলোর পাশাপাশি আরো চমৎকার করে, Volume:1, Part 5, Chapter 2 এর 2.1.1 New or Alternative Materials ব্যাপারে লেখা আছে, ‘The provisions of this Part are not intended to prevent the use of any new and alternative materials. Any such material may be approved provided it is shown to be satisfactory for the purpose intended and at least equivalent of that required in this Part in quality, strength, effectiveness, fire resistivity, durability, safety, maintenance and compatibility.’
আশা করব ওপরে উল্লিখিত আলোচনার পর আপনার মনেও এখন একটি বিশ্বাস একটু একটু করে দানা বাঁধতে শুরু করবে, কোড কখনো কোনো ঐশ্বরিক বাণী নয় যে এটি কোনো পরিবর্তন গ্রহণ করবে না। কোড যুক্তিযুক্ত বিজ্ঞানের একটি সুন্দর মালা মাত্র।
যদি এর পরও আপনি হন অনমনীয় তবে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি আপনার জন্য―‘আজ থেকে ১০ বছর পরে যখন বাংলাদেশে আরো লক্ষাধিক আধুনিক স্থাপনা হবে উচ্চশক্তির ৮৭ গ্রেডের বি৬০০সি-আর/ডি-আর রড দিয়ে, তত দিনে হয়তো এসিআই ৩১৮-২০১৯ কিংবা তারও আপডেটেড ভার্সনের ছায়া হিসেবে প্রকাশিত হবে বিএনবিসির তৃতীয় ভার্সন, তখন আপনাদের অনেকেরই মগজ আপনাদেরকে একটি প্রশ্ন করবে, আধুনিক নির্মাণে উচ্চশক্তির রড ব্যবহারে কোড কি সত্যিই অন্তরায় ছিল? নাকি আপনি?’
প্রকৌশলী মো. গোলাম হোসেন ফারহান, এম.আই.ই.বি.
#strength #higrade #steel #rod #localmarket #code #certificate #volume #deformedbar #quality #grade